মৌলভীবাজার কারাগারে থাকা ভাস্কর চাষা নামের ধর্ষণ মামলার এক আসামীর আত্ম হত্যায় মৃত্যু হয়েছে। ১৭ অক্টোবর সোমবার ভোরে সে কারাগার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আত্মহত্যা করে। পরে সেখান থেকে তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায় ৭ বছরের এক মেয়ে শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগে ভাস্কর চাষা (৬৭) নামের এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে কুলাউড়া থানা পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনায় ৯ অক্টোবর রাতে ওই শিশুর নানা বাদী হয়ে ভাস্কর চাষাকে আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মধ্য রাতে কুলাউড়া উপজেলার গাজীপুর চা বাগান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় ওই শিশু গাজীপুর চা বাগান শ্রমিকের মেয়ে। ৯ অক্টোবর দুপুরে ভাস্কর চাষা ওই শিশুকে বাগানে একা পেয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাগানের ভিতরে তার দোকানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে শিশুর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ভাস্কর দোকান থেকে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
মৌলভীবাজারের জেলা কারাগারের জেল সুপার মোঃ আব্দুল কদ্দুছ জানান ওই হাজতি কারাগারে প্রবেশের সময় তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও ক্ষত থাকায় সে কারগার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। সে ধর্ষণ মামলার ঘটনায় লোকলজ্জার ভয়ে অনেকটা হতাশায় ভোগছিলো। সোমবার ভোরে সে হাসপাতালে আত্মহত্যার প্রচেষ্ঠা চালালে মুমূর্ষ অবস্থায় সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই সে মৃত্যু বরণ করে।
এবিষয়ে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফয়ছল জামান জানান জেলা কারাগার থেকে ফাঁসলাগা একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্ত্যবরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়না তদন্ত শেষে জানান সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সুত্র, পাতাকুড়ি।